হেলো প্রথম থেকেই তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রথমে বাটার সহযোগীতায় ফ্রন্ট লাইন চিকিৎসকদের পিপিই ও মাস্ক সরবরাহ করেছে। হেলো গত ২৪ শে এপ্রিল ১ম পর্যায়ে আশুলিয়াতে কর্মহীন ১০০শ শ্রমিকদের প্রতি পরিবারের মাঝে ৫ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি তেল, ১ কেজি ছোলা বুট, ১ কেজি পেয়াজ, ১/২ কেজি লবন দিয়েছে।
আশুলিয়াঃ
করোনা কালে মানবতার সেবায় হেলো ঢাকা: ২০১৯ সালের শেষের দিকে চীন দেশ থেকে উৎপত্তি হওয়া নভেল করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯ এখন সারা বিশ্বের আতঙ্ক। এর ফলে বিশ্বজুড়ে চলছে লকডাউন। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা প্রতি মুহুর্তেই বাড়ছে। এই দুর্যোগ কালীন সময়ে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী সংস্থাগুলো কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে য়াচ্ছে। ২০২০ সালে মার্চে বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত রোগি সনাক্তের পর থেকে মানবতার সেবায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে হেলদি হার্ট হ্যাপি লাইফ অর্গানাইজেশন (হেলো)। প্রথম থেকেই “হেলো”র প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিশিষ্ট ক্লিনিক্যাল এবং ইন্টারভেনশনাল হৃদরোগ বিশেজ্ঞ ডা. মহসীন আহমেদ দেশের সুনামধন্য কোম্পানি, ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠাননের সহায়তায় গড়ে তুলেন করোনা প্রতিরোধের জন্য আপদকালিন বিশেষ তহবিল। এথেকে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের সেবা প্রদানকারী সামনের সারির চিকিৎসকদের নিকট পৌছানো হয়েছে পিপিই ও মাস্ক। পরবর্তীতে উন্নত মানের এন৯৫ মাস্কও সর্বরাহ করা হয়। এটি শুধুমাত্র ঢাকা বা চট্টগ্রামে নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হাসপাতালের চিকিৎসক ও তাদের সহায়কদের নিকট এসব সামগ্রী পৌছানো হয়। এছাড়া গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে হেলোর সদস্যভুক্ত বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়ে গঠন করা হয়েছে জরুরি সেবা মাধ্যম। এ থেকে দেশ বিদেশ থেকে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি বা আত্মীয়রা নিদিষ্ট হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করে অব্যাহ সেবা নিয়ে উপকৃত হচ্ছেন। শুধু ডাক্তারদের সুরক্ষা ও পরামর্শের মধ্যে হেলোর কার্যক্রম সীমাবদ্ধ নেই। সংগঠনটির মূল প্রতিপাদ্য “মানবতার জন্য সচেতনতা, দাতব্য ও গবেষণা” এর আলোকে সমাজের অবহেলিত, অক্ষম, নিঃস্ব, দুস্থ ও সমস্যাগ্রস্ত মানুষের সেবায় নিয়জিত করেছে। গত ২৪ এপ্রিল হেলো প্রথম পর্যায়ে রাজধানী ঢাকার পার্শ্ববর্তী আশুলিয়া এলাকার কর্মহীন ১০০ শ্রমিকদের চাল, ডাল, লবণ, তেল, আলু, পেয়াজসসহ প্রতি পরিবারকে নিত্যপণ্যের অনন্ত ১৪ কেজি করে সামগ্রী বিতরন করা হয়। এদিকে, করোনাকালে হেলোর নিয়মিত প্রকল্প বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও স্বাস্থ্য কার্ড বিতরনসহ সংস্থার অন্যান্য প্রকল্প স্থগিত রাখা হয়েছে।
রৌমারীতেঃ
হেলোর পক্ষ থেকে কুড়িগ্রাম রৌমারীতে অসহায় দুস্থ মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরন কর্মসূচী। রৌমারীতে করোনা সমস্যগ্রস্থদের মাঝে হেলোর মানবিক সহায়তা কুড়িগ্রাম : সংক্রমক ব্যাধী করোনাভাইরাসের এই দুর্যোগকালে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চল বাইটকামারী এলাকার প্রান্তিক মানুষের পাশে মানবিক সহায়তা নিয়ে দাঁড়িয়েছে “হেলদি হার্ট হ্যাপি লাইফ অর্গানাইজেশন (হেলো)”। বুধবার উপজেলার বাইটকামারী প্রাইমারী স্কুলমাঠে ১০০ জন দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে চাল, ডাল, লবণ, তেল, আলু, পিঁয়াজ, সেমাই, চিনি, ও দুধ সম্বলিত একটি প্যাকেজ মানবিক সহায়তা হিসেবে দেয়া হয়। ঢাকা থেকে অনলাইনে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন “হেলো”র প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিশিষ্ট ক্লিনিক্যাল এবং ইন্টারভেনশনাল হৃদরোগ বিশেজ্ঞ ডা. মহসীন আহমেদ। সামাজিক ব্যক্তিত্ব মো. মহিউদ্দিন মহির তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট এলাকার স্বেচ্ছাসেবকদের সুশৃঙ্খল তৎপরতায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এসব সামগ্রী বিতরন করা হয়। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের জানুয়ারির প্রথমদিকে এলাকাটির শীতার্ত মানুষের মধ্যে ৭০০ জনকে শীত সামগ্রী সহায়তা করে হেলো। ওই সময় এলাকার লোকদের মাঝে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ৩ শিশুর জটিল হৃদরোগ সনাক্ত হয়। যা হেলোর সম্পূর্ণ আর্থিক সহায়তায় তাদের অপারেশন সহ সার্বিক চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়। বর্তমানে শিশুরা সুস্থ জীবন অতিবাহিত করছে। সহায়তার বিষয়ে “হেলো”র প্রধান পৃষ্ঠপোষক ডা. মহসীন আহমেদ বলেন, মানবতার জন্য স“চেতনা, দাতব্য ও গবেষণা” এ শ্লোগানে আমাদের যাত্রা শুর হয়েছে। হেলোর লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য ভিত্তিতে চলমান সঙ্কটে সমাজের অবহেলিত, অক্ষম, নিঃস্ব, দুস্থ ও সমস্যগ্রস্থ মনুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। যদিও ক্ষুধার্ত এসব মানুষের সার্বিক চাহিদার কাছে এ সহায়তা খুবই নগণ্য। তবুও ঈদের পূর্ব মুহুর্তে এ সহায়তায় জীর্ণ বস্ত্রের শীর্ণদেহী মানুষের মুখে ফুটে উঠেছে স্বর্গীয় হাসি। এটি সম্ভব হয়েছে, সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সমাজ সেবকদের সহায়তায়। আশা করছি, এ ধারা অব্যাহত থাকবে।